একদিনে পাহাড় আর সাগড়
একদিনে পাহাড় আর সাগড়
একদিনে পাহাড় আর সাগড় ঘুরে আসতে চাইলে চট্রগ্রামের বাশখালী সবচেয়ে ভালো জায়গা। তবে চা বাগানের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে বের হতে হলে বের হতে হবে খুব ভোরে।


কিভাবে যাবেনঃ বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল অথবা নতুন ব্রিজ থেকে বাস পাবেন সরাসরি নামতে হবে বাশখালীর চাদপুর নামক জায়গায়। ফজরের নামাযের পর রওনা দিলে ৮টার মধ্যে পৌছে যাবেন। তার পর চাদপুর থেকে রিজার্ভ সিএনজি পাবেন চা বাগান পর্যন্ত। প্রার তিন হাজার একর জমির উপর এ চা বাগান। উচু নিচু পাহাড়ী জমি। সেখানকার শ্রমিকদের বিচিত্র জীবন উপভোগ করতে পারবেন।খাবার পানি সাথ্র রাখবেন। সেখানে ২/৩ ঘন্টা পাহাড় আর প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারেন। চাবাগানের যতই ভিতরে ডুকবেন ততই নিঃশব্দের মাঝে হারিয়ে যাবেন। এবার ফিরার পালা। বের হয়ে এরপর আবার চলে যাবেন চাদপুর। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে নিতে পারেন। " হাবিবা" নামের একটি ভাতঘর আছে খাওয়ার ফ্রেস।(যারা যেকোন জায়গায় খেতে অভ্যস্ত তাদের জন্য)। এরপর এখান থেকে খানখানাবাদ চ। ডিরেক্ট সি এন জি নিতে পারেন অথবা বাসে করে গুনাগরি>সেখান থেকে বীচ। বীচ প্রায় খালি ই থাকে তাই সম্পুর্ণ সাগরটাকে নিজের মনে হতে পারে। এখানে কিছু সময় অতিবাহিত করে চলে আসতে পারেন শহরে। গুনাগরি বাজারে এসে এখান থেকেই চলে যেতে পারেন শহরে।
খরচঃ বাশখালী আসতে বাস ভাড়া > ৫৫-৬৫ টাকা, চাদপুর থেকে টি গার্ডেন রিজার্ভ সি এন জি ২৫০ টাকা(২৫০/৫ = ৫০ টাকা), দুপুরের খাওয়া ১০০ টাকা, চাদপুর থেকে খানখানাবাদ সী বীচ ডিরেক্ট সি এন জি নিলে ২৫০/৩০০ টাকা নিবে (পার হেড ৫০/৬০ টাকা),বীচের অখান থেকে গুনাগরি বাজার ১৫০ টাকা রিজার্ভ (পারহেড ৩০ টাকা)। টোটাল ৩৫০/৪০০ টাকার মধ্যে ভালো একটা দিন উপভোগ করতে পারবেন।
আমাদের হাতে সময় ছিলোনা তাই ইকোপার্কে যেতে পারি নি।
বি:দ্রঃ চা বাগান এ মহিলা থাকলে
পরিচিত বিহীন প্রবেশ করতে দেয়না। ঘুরতে গিয়ে কোথাও ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলুন।






Original Author & Photo Credit : Arif Hasan Riyad